কক্সবাজারের রামু উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মমতাজুল আলম মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাত দশটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মমতাজুল আলম রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামের মরহুম আশরাফুজ্জামানের প্রথম ছেলে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৩ মেয়ে, ১ ছেলে রেখে গেছেন। মমতাজুল আলম সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস রামু শাখার স্বত্ত্বাধিকারি ছিলেন।
গতকাল বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় পশ্চিম মেরংলোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মমতাজুল আলমের নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি। তিনি বলেন, ব্যবসায়ি মমতাজুল আলম একজন সৎ ব্যবসায়ি ছিলেন। তাঁর ছোট মেয়ে আসিফা রামু ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। এ শিশু শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অব্যাহত থাকবে। পিতার মৃত্যুর কারনে এ মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব এখন থেকে সেনাবাহিনীর।
মুফিজুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে কক্সবাজার জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হোসাইন আহমদ আনসারী, মরহুমের ভাগিনা এডভোকেট জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। জানাযায় ইমামতি করেন, রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আমান উল্লাহ সিকদার।
জানাযায় ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুচ রানা চৌধুরী সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানাযা শেষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, পিএইচডি মরহুম মমতাজুল আলমের বাড়িতে যান। এসময় তিনি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং পরিবারটির সুখে-দুখে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
পাঠকের মতামত: